ভবানীপুরে মমতার বিরুদ্ধে প্রার্থী খুঁজতে কালঘাম ছুটছে বিজেপির

দোরগোড়ায় উপনির্বাচন। তবে আসন্ন বিধানসভা উপনির্বাচনে গোটা রাজ্যবাসীর আকর্ষিত কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্র। কারন, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে শুভেন্দু অধিকারীকের বিরুদ্ধে হেরে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্তু হেরে গেলেও মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন তিনি। মূলত, সংবিধান অনুযায়ী, ৬ মাসের মধ্যে রাজ্যের যেকোনো একটি বিধানসভা আসন থেকে জয় লাভ করতে হবে তাকে। সে অনুযায়ীই ৩০ সেপ্টেম্বরের ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচনে লড়বেন মমতা। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় মমতার বিরুদ্ধে লড়তে ভবানীপুরে যোগ্য প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না বিজেপি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও শুভেন্দু জানিয়েছেন, দল চাইলে ভবানীপুরেও তিনি মমতার বিরুদ্ধে ভোটের লড়াই করতে প্রস্তুত। তাই প্রশ্ন উঠেছে, আবারও কী মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দু প্রার্থী হবেন?‌

এদিকে গতকাল রাতেই দিল্লিতে গিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। অন্যদিকে, নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে তৃণমূল। তাই প্রধান বিরোধী দল যে এখন পিছিয়ে আছে তা স্পষ্ট। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে শুভেন্দু ব্যাতিত মমতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে এখন কোনো প্রার্থীই সাহস করে উঠতে পারছেন না? এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, করোনার মধ্যে যেখানে সব কিছুই বন্ধ, সেখানে নির্বাচন কেনো? এর পাল্টা জবাবে তৃণমূল বলছে, বিজেপি এখন জনবিচ্ছিন্ন। হেরে যাওয়ার ভয়েই এসব বলছে। নির্বাচন কমিশন সব জেনেবুঝেই এ সিদ্ধান্ত দিয়েছে।