গলায় পা তুলে দেব, আমি হিজড়া নই! লাথি- ধাক্কা খাওয়া পর মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

আর মাত্র দিন দুয়েকের অপেক্ষা। তারপরই গোটা দেশের নজর থাকবে ভবানীপুরের দিকে। মূলত, দিদির প্রধানমন্ত্রীর আসনে অসীন হবার লক্ষ্য ঠিক করে দেবে ভবানীপুরের এই উপনির্বাচন। আবার এই উপনির্বাচনে দিদি হারলে প্রধানমন্ত্রী হওয়া তো দূরের কথা, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে হতে পারে তাঁকে। এবং দিদিকে হারানোর লক্ষ্যে অসীন থেকে বঙ্গ বিজেপি নেমে পড়েছে কোমর বেঁধে। যার জেরে এদিন ভবানীপুর যদুবাবুর বাজারের ভোট প্রচারে নামতেই তুমুল উত্তেজনা ছড়াল। মূলত, বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে এদিন শেষবেলার প্রচারে আসেন দিলীপ ঘোষ। সেইসময়ই দিলীপ ঘোষের সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী-‌সমর্থকরা। খবর পেয়েই যদুবাবুর বাজারে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল এবং দীনেশ ত্রিবেদী। দিলীপ বাবুর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মী-‌সমর্থকরা আমাদের প্রচারে বাধা দেয়। তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণে আমাদের এক কর্মীর মাথা ফেটে যায়। আমাকেও ধাক্কা দেওয়া হয়।’‌

এরই পাশাপাশি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান। তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‌গলায় পা তুলে দেব, আমি হিজড়া নই।’‌ তবে এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও জানান, মাননীয়ার খাস তালুক ভবানীপুরে একজন জনপ্রতিনিধির উপর যেভাবে হামলা হল এই রাজ্যে তাতে সাধারণ মানুষের জীবন কতটা সুরক্ষিত ? আজ তৃণমূলের গুন্ডা দিয়ে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজারে যে ভাবে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হল, আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হয়েছিল সেটি শাসকদলের জঘন্য , ভয়াবহ রূপটিকে তুলে ধরে। এর পরও কি সুস্থ নির্বাচন আশা করা যায় ?

এদিকে এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “ভবানীপুরের পরিস্থিতি ভয়াবহ। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র আর অবশিষ্ট নেই। আগেও বলেছি, এখনও বলছি। আমরা যা দেখলাম, গণতন্ত্রের জন্য এই ঘটনা স্বাস্থ্যকর নয়। দিলীপ ঘোষ তারকা প্রচারক। তাঁকে লাথি মারা হচ্ছে, ধাক্কা দেওয়া হচ্ছে। তাঁর বয়সটাও তো ভেবে দেখা দরকার।”