অভিনব কায়দায় এটিএম লুঠ, পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৪ প্রতারক

79

এটিএম থেকে টাকা লুঠ হয়েছে। কিন্তু এটিএমের গায়ে আঁচড় পর্যন্ত নেই। এভাবেই শহরে অভিনব কায়দায় একের পর এক এটিএম থেকে গায়েব হচ্ছিল লক্ষাধিক টাকা। মূলত, কাশীপুর, যাদবপুর, নিউমার্কেট, বেহালা, বেনিয়াপুকুর, ফুলবাগান ও বউবাজারের, ১০টি এটিএম থেকে অন্তত ২ কোটি টাকা লুঠ হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র মারফত খবর মিলেছিল। এরপরেই আটঘাট বেঁধে তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হয়, সিসিটিভি ফুটেজ। এরপর সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। এর মধ্যে ২ জনকে কলকাতা থেকে এবং বাকি ২ জনকে গুজরাত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গুজরাত থেকে ধৃতদের এরাজ্যে আনতে ইতিমধ্যেই ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। সুরাত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দিল্লির দুই বাসিন্দাকে। ধৃতদের নাম, মনোজ গুপ্তা এবং নবীন গুপ্তা। অন্যদিকে কলকাতা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বিশ্বদীপ রাউত এবং আব্দুল সইফুল মণ্ডলকে।

উল্লেখ্য, কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি শহরের এটিএমগুলি পরীক্ষা করেন ফরেন্সিক আধিকারিকরা। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে এটিএম খুলে বিশেষ যন্ত্র লাগানো হচ্ছে। তার ফলে এটিএম-এর নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে প্রতারকদের হাতে। তুলে নেওয়া হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, এটিএমের লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা ল্যান কেবিলের সঙ্গে বিশেষ ডিভাইস যা যন্ত্র বসিয়ে দিচ্ছে প্রতারকরা। এরপর মাস্টার কি দিয়ে এটিএমের ডিসপ্লে-র ওপরের হুড খুলে লোপাট করা হচ্ছে টাকা। ডিভাইস ইনস্টলের ফলে, ব্যাঙ্কের বিশেষ সফটঅয়্যার অকেজো হয়ে যাচ্ছে। ফলে এটিএম থেকে টাকা লোপাট করলেও ব্যাঙ্কের কাছে কোনও তথ্য পৌছাচ্ছিল না।