বৃষ্টি ভেজা বাগানমাঠে পরিত্রাতার নাম মেহেতাব

পরিত্রাতার নাম মেহতাব। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেমেই তিনি গোল করালেন ডিকাকে দিয়ে।

183

মোহনবাগান – ৩ (ডিকা, অভিষেক, আজহারউদ্দিন) রেনবো – ২(অভিজিত, সানডে)

একে অনভিজ্ঞ দল তার উপর গত ম্যাচের নায়ক হেনরি নেই। এই অবস্থায় খেলতে নেমে মোহনবাগান দলকে আবার সম্মুখীন হতে হল বৃষ্টির।

বৃষ্টি ভেজা কাদা মাঠে শুরুটা ভালই করেছিল আজহার-ডিকা-সৌরভ দাসের মোহনবাগান। একের পর এক আক্রমণ চাপ সৃষ্টি করছিল রেনবো ডিফেন্সে। ফলস্বরূপ একের পর এক কর্নার আদায় করতে থাকে মোহনবাগান। কিন্তু কর্নার এর সৎ ব্যবহার করতে ব্যর্থ হয় শংকরলালের দল। চিনের প্রাচীরের মতো মোহনবাগানের বাধা হয়ে দাঁড়ায় গতবছর আইলিগ জেতা খেলোয়াড় এরিক দানো।

৩৯ মিনিটের মাথায় খেলার স্রোতের বিপরীতে ফ্রিকিক থেকে গোল করে রেনবোকে এগিয়ে দেয় অভিজিত।

প্রথমার্ধের শেষে যখন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কপালে ভাজ পরে, তখন তারা খুজছিলেন একজন নায়কের একজন পরিত্রাতার যিনি খেলার স্কোর বদলে দেবেন তাদের জন্যে।

আর সেই পরিত্রাতার নাম মেহতাব। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নেমেই তিনি গোল করালেন ডিকাকে দিয়ে।

এরপর আবার স্বমহীমায় দেখা যায় মেরিনার্সদের। গ্যালারীতে উঠতে থাকে স্লোগান, গ্যালারী মেতে ওঠে মেক্সিকান ওয়েভে, গোটা মাঠ কেঁপে ওঠে মেরিনার্সদের ভাইকিং ক্ল্যাপে। শুধু গ্যালারী নয় মাঠের ভিতরেও দেখা যায় সবুজ-মেরুন দাপট। ৬৭ মিনিটে অভিষেক এবং ৭৩ মিনিটে আজহারের গোলে ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় শংকরলালের দল।

নায়ক সেই মেহতাব। দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই খেলা ঘুরিয়ে দেন তিনি, ২টি অ্যাসিস্ট করে মোহনবাগানে তার দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর মধ্যে দিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন বয়স হলেও শিল্পী কখনওই তার শিল্প ভুলে যায়না।

চিত্র: মোহনবাগান অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ।