ভিক্ট্রি ল্যাপে হোঁচট ইস্টবেঙ্গলের

লাজং – ২ (ডোহলিং, স্যামুয়েল – পেনাল্টি)

ইস্টবেঙ্গল -২ (ডুডু – ২)

লোকে বলে পাহাড়ে গিয়ে পয়েন্ট কেড়ে আসা কঠিন। আর যদি তা লিগ জয়ের ম্যাচ হয়ে থাকে তবে তার চাপ অপরিসীম। লাজং এর বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য ছিল শুধুমাত্র জয়। যেন তেন প্রকারেণ তিনটি পয়েন্ট পেতে হত ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু সেই চিরাচরিত ডিফেন্সের ভুলে লিগ জয়ের রাস্তা কঠিন হয়ে গেল।

একে এডুয়ার্ডো নেই, তাই ডিফেন্সকে সাজাতে বেশ ঘাম ঝড়াতে হয়েছে খালিদকে। ম্যাচের শুরু থেকে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণ শুরু করে। ক্রোমা বেশ কিছু ভাল মুভ করেন, কাতসুমি ও আমনা বেশ সুন্দর ফুটবল খেলছিলেন। এরই মধ্যে ১৯ মিনিটের মাথায় ডুডুর হেডে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। প্রথমে গোলটা অফসাইড ভাবা হলেও রিপ্লেতে পরিষ্কার হয়ে যায় ডুডু অনসাইড ছিল। এরপর লাজং নিজেদের মধ্যে পাস খেলে ও বারবার ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে পরীক্ষার মুখে ফেলে দেয়। মেহতাব সিং বারবার মিসপাস করে দলকে বিপদে ফেলছিল। কিন্তু গোল করতে পারেনি লাজং।

দ্বিতীয়ার্ধে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানায় লাজং। ঘরের মাঠে নিজেদের আসল খেলা খেলতে শুরু করে। আর তারই মধ্যে ৪৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের স্বপ্নে ধোঁয়াশা এনে লাজংকে সমতা ফেরান আইবানবা ডোহলিং। গোল খেয়ে ইস্টবেঙ্গল হতচকিত হয়ে যায়। এতক্ষণের মজবুত ডিফেন্সে ভাঙন ধরা দিল। এরপর ৬৯ মিনিটে সেই জ্বালায় নুন ছেটালো মেহতাব সিং। লাজং এর অধিনায়ক স্যামুয়েলকে বক্সের মধ্যে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন লাজংকে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি স্যামুয়েল। স্বপ্ন যখন ভাঙছে এমন ভাবনা মাথায় আসছে সেই মুহুর্তে ৮৮ মিনিটে ক্রোমার ক্রসে ডুডু হেড করে স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখেন।

এরপর লিগের ফয়সালা হবে ৮ই মার্চ। এখন মিনার্ভা ও মোহনবাগানের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। ইস্টবেঙ্গলকে পরের ম্যাচ নেরোকার বিরুদ্ধে জিততেই হবে, আর মোহনবাগান ও মিনার্ভার জেতা চলবে না। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলের ১৪ বছরের শাপমুক্তি।