কালবৈশাখীর ইডেনে আছড়ে পড়ল গেইল-রাহুলের ঝড়

কেকেআর এর সামনে যখনই গেইল আসেন, তার ব্যাটিংয়ে এক অন্যরকম দানবীয়তা চলে আসে। কলকাতার ফ্র‍্যাঞ্চাইজির এই প্রাক্তনী আরসিবির হয়ে কলকাতাতেই তাদেরই বিরুদ্ধে নিজের প্রথম আইপিএল শতরানটি মারেন। এরপর বেঙ্গালুরুর হয়েই হোক, বা হালফিলের পাঞ্জাব – গেইলের ধুমধাড়াক্কা যেন আর থামেই না। আর তার সাথে নতুন সংযোজন আইপিএল এর দ্রুততম অর্ধশতরানকারী কে এল রাহুলের ধুন্ধুমার ব্যাটিং। এই দুজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দুপুরের ইডেনে কলকাতাকে পর্যুদস্ত করল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

টসে জিতে পাঞ্জাবের অধিনায়ক অশ্বিন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। তবে দ্বিতীয় ওভারে নারাইন আউট হয়ে যাওয়ার পরেও ক্রিস লিন ও রবীন উত্থাপ্পা ইনিংসকে ধরে রাখেন। ৭২ রানের একটি দারুণ পার্টনারশিপ করার পর উত্থাপ্পা (২৩ বলে ৩৪) আউট হন অশ্বিনের বলে। এরপর দ্রুত আউট হন নীতিশ রানাও। কলকাতার ক্যাপ্টেন দীনেশ কার্তিক (২৮ বলে ৪৩) ও ক্রিস লিন (৪১ বলে ৭৪) মিলে এরপর কেকেআর এর ইনিংস বাড়ানোর জন্য আক্রমণাত্মক খেলতে শুরু করেন। ৩৪ বলে ৬২ রানের পার্টনারশিপ করেন এই জুটি। ২০ ওভার শেষে কলকাতা নাইট রাইডার্স করে ১৯১/৭। পাঞ্জাবের হয়ে ভালো বোলিং করেন অ্যান্ড্রু টাই। তিনি ৪ ওভারে ৩০ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন।

বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখে শুরু থেকে চালিয়ে খেলতে শুরু করে পাঞ্জাবের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও কে এল রাহুল। গেইলের থেকে রাহুল যেন বেশি আক্রমণাত্মক ছিল। একা নারাইন ছাড়া আর কোনও বোলার ধোঁপে টেকেনি এই দুই ব্যাটসম্যানের কাছে। ৮.২ ওভারে যখন পাঞ্জাব বিনা উইকেটে ৬৫, তখনই নেমে পড়ল বৃষ্টি। শুরু হল ডার্কওয়ার্থ-লুইস নিয়মের জটিল হিসেব। যখন ম্যাচ ফের শুরু হল তখন ডার্কওয়ার্থ-লুইস হিসেবে পাঞ্জাবের আর দরকার ছিল ২৮ বলে ২৯ রান। কে এল রাহুলকে (২৭ বলে ৬০) সুনীল নারাইন আউট করলেও ম্যাচ অতি সহজেই বের করে আনেন ক্রিস গেইল। ৩৮ বলে ৬২ করে এই বছরের আইপিএল এ নিজের তৃতীয় অর্ধশতরান পুরন করলেন। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ডার্কওয়ার্থ-লুইস নিয়মে জেতে ৯ উইকেটে। এই জয়ের ফলে লিগ টেবিলের শীর্ষে চলে গেল পাঞ্জাব। কলকাতা নেমে এল তিন নম্বরে।