খালিদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও! দুঃসময়ে সুভাষের পাশেই খালিদ

68

নিয়মের জন্য সরে দাঁড়াতে হয়েছে সুভাষ ভৌমিককে, মঙ্গলবারই তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এই বিষয়ে সুভাষ ভৌমিক কিছু না জানলেও, মরশুমের মাঝপথে সুভাষকে চলে যেতে হল,তা নিয়ে বিন্দুমাত্র উল্লসিত নন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন কোচ খালিদ জামিল। বরং সুভাষ ভৌমিকের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তিনি জানান, সুভাষ ভৌমিক আমার থেকে সিনিয়র। সিনিয়রদের যে ভাবে শ্রদ্ধা করা উচিত সেইভাবেই আমি তাঁকে শ্রদ্ধা করি।” আসলে কারও চাকরি গেলে আমি উপলব্ধি করতে পারেন তাঁর মনের অবস্থা। তিনি আরও বলেন, যা হওয়ার হয়ে গেছে। অতীত মনে রাখতে চাই না। সামনের দিকে তাকাতে চাই।
প্রসঙ্গত, তিনিও যে এখন সুভাষ ভৌমিকের মতই বেকার। তাঁরও চাকরি নেই। বাড়িতে বসে তিনি। তাই কারও দুর্দিনে আনন্দ করবেন সেই রকম মানসিকতার নন খালিদ জামিল।
মূলত, মনে করিয়ে দেওয়া ভালো সুপার কাপের পরই ইস্টবেঙ্গল থেকে চাকরি গিয়েছিল খালিদ জামিলের। ব্যর্থতা ও সিনিয়র ফুটবলারদের অসম্মানিত করার জন্য। সেই সময় সুভাষ ভৌমিক বলেছিলেন, “কাল-কেউটের সঙ্গে ঘর করা যায়। কিন্তু খালিদ জামিলের সঙ্গে নয়। ও যেভাবে মনোরঞ্জন, ভাস্কর ও সুভাষ ভৌমিককের মতো তিন স্তভকে টলিয়ে দিয়েছে, তাতে ও ক্লাবে থাকবে নইলে আমি, দুজনের মধ্যে একজনকে বেছে নিতে হবে ক্লাবকে।শেষ পর্যন্ত দু’ বছরের চুক্তি থাকলেও, ছেড়ে দেওয়া হয় খালিদ জামিলকে। নতুন মরশুমের জন্য টিডি করা হয়েছিল সুভাষ ভৌমিকে।