কলঙ্কিত ভারতীয় ফুটবল

এফসি গোয়া -৫(ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজ,ফেরান কোরোমিনাস*২,মানভির সিং,হুগো বোউমোস*২)
জামশেদপুর এফসি -১( অসিম বিশ্বাস)

সবই ঠিকঠাক চলছিল। বিরিয়ানি রান্না হয়ে গেছে। সুগন্ধিতে ঘর ম-ম করছে। কিন্তু খেতে বসে দেখলেন আলুটাই সিদ্ধ হয়নি।
সিদ্ধ না হওয়া আলু যে আপনার বিরিয়ানিকে কলঙ্কিত করে দিল।

ঠিক একই ভাবে কলঙ্কিত হল ভারতীয় ফুটবল। তবে আলুর জন্যে নয়, খেলোয়াড়দের আচার -আচরনের জন্যে।
হিরো সুপারকাপের কোয়াটার ফাইনাল ম্যাচ! খেলা দুই আইএসএল এর দল জামশেদপুর এফসি এবং এফসি গোয়ার মধ্যে। ভরদুপুরবেলা যখন ভারতীয় ফুটবল ভক্তেরা টিভির সামনে বসেছেন টানটান খেলা দেখার জন্যে ঠিক তখনই হাজারো ফুটবল সমর্থকদের সামনে ঘটে গেলো অপ্রিতীকর ঘটনা।
একই ম্যাচে ৬খানা লাল কার্ড তাও আবার হাফটাইমেই।
ঘটনার সুত্রপাত প্রথম অর্ধে, যখন এফসি গোয়াকে ১ গোলে এগিয়ে দেওয়া ব্র‍্যান্ডন ফার্নান্ডেজ গোল লাইন পেরিয়ে যাওয়া বল ভিতরে টেনে গোল দেন। প্রথমে রেফারি গোল দিয়ে দিলেও জামশেদপুর দলের খেলোয়াড়রা প্রতিবাদ জানালে ম্যাচ রেফারি চতুর্থ রেফারির সাথে কথা বলে গোল বাতিল করেন। এরপরেই শুরু হয় দুইদলের খেলোয়াড়দের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি, এমনকি রেফারির দিকেও তেড়ে যান খেলোয়াড়রা।
এখানেই শেষ নয়! দ্বিতীয় অর্ধের খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের ২০ মিনিট পরে এবং দেখা যায় মাঠে দুইদলের মোট ৮জন খেলোয়াড় উপস্থিত, বাকি ৬জন খেলোয়াড়ের কোনো হদিশ নেই। খোজ নিলে দেখা যায় বিরতির সময় টানেলের মধ্যেই মারপিটে জড়িয়ে পরে দুই দলের খেলোয়াড়েরা। ফলস্বরুপ জামশেদপুর এর গোলকিপার সুব্রত পাল, ডিফেন্ডার আনাস এবং বিদেশি বেলফোর্ট লাল কার্ড দেখেন। অপর দিকে গোয়া দলের গোলদাতা ব্রেন্ডন, এবং দুই প্রধান বিদেশি ডিফেন্ডার ব্রুনো পিনেইরো এবং সের্জিও জুস্তে লাল কার্ড দেখেন।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলা শুরু হওয়ার পর এফসি গোয়া ম্যাচের সিংহভাগ দখল নিয়ে নেয়। ফলস্বরুপ খেলার রেজাল্ট ৫-১।
সেমিফাইনালে এফসি গোয়ার মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিকভাবেই কলকাতার দলের জন্য এটি একপ্রকার সুখবর। কারণ তাদের বিরুদ্ধে নয় নয় করে ৪ থেকে ৫ জন খেলোয়াড় খেলবেন না।
কিন্তু এই ম্যাচ ভারতীয় ফুটবলের একটি কালো দিক হয়ে থেকে যাবে। এবং এআইএফএফ এর শীর্ষ কর্তারা এর বিরুদ্ধে কি ব্যাবস্থা নেন এবং লাল কার্ড দেখা খেলোয়াড়রা কি শাস্তি পান তাই দেখার অপেক্ষায় ভারতীয় ফুটবল সমর্থকগন