গত ১৮ অক্টোবর সরকারি ভাবে শেষ হয়েছে বিসিসিআইয়ে সৌরভ গাঙ্গুলির সভাপতি পদের যাত্রা। তবে তাঁর না থাকা নিয়ে দেশের ক্রীড়া মহলে যতটা আলোচনা তৈরি হয়েছে, তার থেকেও বেশি চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি সৌরভকে নিয়ে আবারও সরব হয়েছেন বাঙালিরাও। তাঁদের দাবি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে কেন সরানো হয়েছে! যার জেরে এবার হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী রমাপ্রসাদ সরকার। মামলাটি দায়ের হয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। আইনজীবীর বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকার সত্ত্বেও কেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে সরানো হল ? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল ২০২৫ সাল পর্যন্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও জয় শাহ স্বপদে বহাল থাকবেন । অথচ সৌরভকে সরে যেতে হল এবং জয় শাহ স্বপদে বহাল রয়েছেন।
তাঁর কথায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার । ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক । এটা বাংলার অপমান । এর পিছনে কি কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে ? তিনি আরও বলেন, বিসিসিআই (BCCI) মামলা করেছিল সুপ্রিম কোর্টে । সেখানে হেরে যাওয়ার পর তারা হাইকোর্টে এসে বলতে পারে। এটা হাইকোর্টের এক্তিয়ার বহির্ভূত মামলা নয় । কিন্তু এই ব্যাপারে তাদের হাইকোর্টে এসে জবাবদিহি করতে হবে। আদালত কমিটি গঠন করে তদন্ত করুক । আগামী মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে । আর শুনানিতে জিতলেই ফের বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে দেখা যেতে পারে সৌরভকে? এমনটাই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
প্রসঙ্গত, লোধা কমিটির বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থা ও বিসিসিআই মিলিয়ে কোনও প্রশাসক টানা ছ’বছরের বেশি পদে থাকতে পারবেন না। মূলত, ২০১৯ সালে সৌরভ বিসিসিআই সভাপতি পদে বসেন। তার আগে প্রায় পাঁচ বছর তিনি সিএবি-তে ছিলেন । পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্য সংস্থায় ছ’বছর এবং বোর্ডে ছ’বছর দায়িত্বে থাকতে পারবেন এক জন আধিকারিক। সেই হিসাব অনুযায়ী, সৌরভের কাছে আরও তিন বছর সময় ছিল বোর্ডের সভাপতি থাকার। তবে কিন্তু অমিত-পুত্র জয় শাহকে নিয়েই সর্বসম্মতিতে বোর্ড সভাপতি হয়েছেন ১৯৮৩ এর বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য রজার বিনি।