ইংরেজ নবদিশার শিকার সুইডেন, শেষ চারে কেনরা

সুইডেনের একটানা আক্রমণকে পিছনে ফেলে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ইংল্যান্ড।

ইংল্যান্ড – ২ (ম্যাগুইয়ের, আলি)

সুইডেন – ০

লো প্রোফাইল এই ম্যাচে ফেভারিট হিসেবে ইংল্যান্ড মাঠে নামল সুইডেনের বিপক্ষে। সুইসদের হারিয়ে একদিকে সুইডেন যেমন তৈরি ইংলিশ আক্রমণ সামলানোর জন্য, অন্যদিকে কেনের নেতৃত্বাধীন এই নব ইংল্যান্ড দল প্রমাণ করতে এসেছে যে তারাও কিছু কম নয়। আর ইংল্যান্ড সেমি ফাইনালে উঠল সুইডেনকে দুগোলে হারিয়ে।

এই তথাকথিত মিনি ফাইটে ইংল্যান্ড এগিয়ে থাকলেও সুইডেনের চ্যালেঞ্জ যে সহজ হবেনা তা ভালোমতই জানেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ইংল্যান্ড ও সুইডেন, দুই দলই নিজেদের স্ট্র‍্যাটেজি অনুযায়ী খেলতে থাকে। ইংল্যান্ড বল ধরে রেখে আক্রমণে যাচ্ছে, অন্যদিকে সুইডেন নিজেদের রক্ষণকে গুছিয়ে রেখে ইংল্যান্ডকে দেখে নিচ্ছে। সুইডেন অপেক্ষা করছে সুযোগের। ইংল্যান্ড আক্রমণ করলেও সুইডিশ ডিফেন্স যথেষ্ট মজবুত থাকে। তবে ৩০ মিনিটে প্রথম গোল পায় ইংল্যান্ড। অ্যাশলে ইয়ংয়ের কর্নার থেকে হ্যারি ম্যাগুইয়ের হেড করে এগিয়ে দেন থ্রি লায়ন্সকে। গোল খাওয়ার পর স্বভাবতই সুইডেন আক্রমণাত্মক হতে শুরু করে। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সমতার গোল পায়না প্রথমার্ধে। অপরদিকে ইংল্যান্ডের হয়ে রাহিম স্টার্লিং বিপদজনক হয়ে উঠেছিলেন গ্রাঙ্কভিস্টদের জন্য। ৪৪ ও ৪৫ মিনিটে স্টার্লিং ভালো সুযোগ পান, কিন্তু প্রথমটা অফসাইড হয় এবং দ্বিতীয়টা তিনি বাইরে মারেন। প্রথমার্ধের শেষে অ্যাডভান্টেজ ইংল্যান্ড।

দ্বিতীয়ার্ধে সুইডেন তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শুরু করে। ৪৭ মিনিটে মার্কাস বার্গের প্রয়াস দারুণ ভাবে বাঁচান ইংরেজ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড। কিন্তু সুইডেনের একটানা আক্রমণ সত্ত্বেও গোল করে ইংল্যান্ড। ৫৭ মিনিটে জেসে লিনগার্ডের ভাসানো বল ডেলে আলি হেড করে দলকে দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে দেয়। দুগোল খাওয়া সত্ত্বেও যেন সুইডেন লড়াই ছাড়েনা, কিন্তু তাদের লড়াই চলে মুলত পিকফোর্ডের বিরুদ্ধে। ৬২ মিনিটে ভিক্টর ক্লাসেনের শট বাঁচান পিকফোর্ড। ৭২ মিনিটে ফের মার্কাস বার্গের শট বারের উপর দিয়ে ঠেলে পাঠান ইংরেজ এই গোলরক্ষক। সবশেষে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালের টিকিট কনফার্ম করে ইংল্যান্ড।