সমাজের পাশাপাশি সময়ও বদলেছে, তাই একটি মেয়েকেও বদলানো উচিত, দাবি বৈশাখীর

মোটা, শরীর অনেক ভারী, কি বাজে দেখতে, সামনে বিয়ে একটু তো ওজন কমানো উচিত…এই ধরনের মন্তব্য প্রায় অনেক মেয়েকেই শুনতে হয়। আবার অনেক সময় শুনতে হয় যেমন চেহারা তেমনই পোশাক পড়া উচিত। কারণ মার্জিত দেখানোটা একমাত্র মেয়েদেরই কাজ।

কিন্তু যারা দেখে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা কি কোনও কাজ নয়, বলেই মনে করে এই সমাজ! অনেকেই আবার জানায়, কিভাবে রোগা হওয়া যায়, কিভাবে লালিত্য কম করা যায়, সেই পথেই হাটা উচিত। সমাজ বদলেছে, সময়ও বদলেছে, তাই একটি মেয়েকে বা একটি মহিলাকে বিচার করতে গেলে যে পয়েন্টগুলো ধরিয়ে দেওয়া হয় এবার তা বদলানো উচিত বলেই মনে করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।

যে খাচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে, মেয়েদের সেখান থেকে এবার বেরিয়ে আসার সময় এসেছে। অভিনেত্রী ঋতাভরী জানিয়েছেন, সমাজের একশ্রেণীর মানুষ ঠিক করে দেয়, বর্তমানে কোন ট্রেন্ডটা চলবে সমাজে… আর সেই ট্রেন্ডটাকে মেনে চলতে হয় প্রত্যেকটি মেয়েকে। কিন্তু কেন? কিন্তু ফ্যাশন মানে নিজেকে সাজানো… নিজেকে ভালবেসে করা, অন্য কারোর জন্য নয় বলে, দাবি অভিনেত্রীর।

কিন্তু শরীরের ওজন বৃদ্ধি… বা গায়ের রং কালো বা ওজন কম…কাউকেই কি এই বিষয়গুলি নিয়ে মন্তব্য করা উচিত! বর্তমান যুগে দাড়িয়ে স্কুলগুলিতে এই বিষয় শিক্ষা দেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় ও ঋতাভরী।

সম্প্রতি অভিনেত্রী ঋতাভরী ও আবির চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ফাটাফাটি ছবির ট্রেলার সামনে আসে, যেখানে দেখানো হয় ফ্যাশন মানে নিজেকে ভালোবাসা। নিজেকে সাজানো। ফ্যাশন মানে এটা নয়, যে সুন্দর পোশাক পড়ে, সুন্দর চেহারা নিয়ে সকলের সামনে নিজেকে তুলে ধরা। ফ্যাশন মানে আত্মবিশ্বাস। তাই এই ছবিটিতে অভিনেত্রী ঋতাভরীকে দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত ওজন হওয়া সত্ত্বেও ফ্যাশন নিয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।