১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অভিনেত্রীদের সঙ্গে রাত কাটানোর সুযোগ করে দিতেন আরতি মিত্তল

সালটা ২০২০, আচমকাই গোটা দেশ ভেঙে পড়ে কান্নায়। খবর আসে বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর। তাঁর মৃত্যুর পরই একের পর এক উঠে আসে বলিউডের অন্ধকারময় দিক। আসলে অনেকেরই অজানা কালারফুল এই দুনিয়ার পিছনেও রয়েছে একটি অন্ধকারময় দুনিয়া। ফের একবার চর্চায় উঠে এসেছে বলিউডের সেই অন্ধকারময় দিকটি। আর তারই পর্দা ফাঁস করল মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে রমরমিয়ে চলছিল নাকি দেহ ব্যবসা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই দেহ ব্যবসা চক্রের কর্তা ছিলেন কাস্টিং ডিরেক্টর আরতি মিত্তাল। গোরেগাঁও থেকে দুই মডেলকেও উদ্ধার করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১১ নম্বর ইউনিট। তাদের রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

ছবিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে উঠতি মডেলদের দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগ উঠেছে আরতি মিত্তলের বিরুদ্ধে। ওই দুই মডেল, পুলিশকে জানিয়েছে, ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল আরতি। কাস্টিং কোম্পানির আড়ালে এই চক্রের পর্দা ফাঁস করতে রীতিমতো ফিল্মি স্টাইলে অভিযান চালাতে হয়েছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চকে।

প্রথমে গ্রাহক সেজে হোটেল রুমে হাজির হতে হয় ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসারদের। আর এরপরেই একের পর এক খোলস ছাড়ান দিতে শুরু করে। গোপন অপারেশনের মাধ্যমেই গোটা ঘটনার পর্দা ফাঁস করা হয়। জানা যায়, ভুয়ো গ্রাহক সেজে আরতি মিত্তালকে ফোন করেন পুলিশ ইন্সপেক্টর মনোজ সুতারে। এবং দুই বন্ধুর জন্য দুজন মেয়ের বন্দোবস্ত করে দিতে বলেন তিনি। সেই প্রস্তাবের সম্মতি জানিয়ে ৬০ হাজার টাকার ডিমান্ড করেন আরতি। উঠতি মডেলদের প্রলোভন দেখিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে নামাতেন আরতি।

প্রসঙ্গত, শুধু কাস্টিং ডিরেক্টারি নয় অভিনেত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন আরতি। হিন্দি টেলিভিশনে অত্যন্ত পরিচিত মুখ আরতি। আপনাপনের মতো সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও পরশুরামের মতো ধর্মীয় সিরিয়ালেও তাঁকে দেখা গিয়েছে।